শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম বইমেলায় দর্শক আছে, বিক্রি কম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পড়ন্ত বিকাল। মিষ্টি রোদ ছড়িয়ে সূর্য চলে পড়ছে পশ্চিম আকাশে। এরই মধ্যে বইমেলায় দর্শকদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠক-দর্শকের ভিড়ও বাড়ে। সবাই বইমেলার আঙিনায় ঘুরছেন। আড্ডা দিচ্ছেন। কিন্তু বই বিক্রির সংখ্যা খুব আশাব্যঞ্জক নয়।

প্রকাশকদের অভিযোগ, বইমেলার প্রাঙ্গণটা যোগাযোগবান্ধব নয়। এখানে গণপরিবহন ব্যবস্থা নেই। ফলে সব শ্রেণির পাঠক-দর্শক এখানে আসতে পারছেন না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীর সহযোগিতায় নগরের সিআরবি প্রাঙ্গণে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বইমেলা চলবে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত।

আপন আলোর প্রকাশক অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন শিশির বলেন, বিক্রির অবস্থা আশানুরূপ নয়। দর্শক আছে বিক্রি কম। তবে আমরা আশাবাদী, আস্তে আস্তে বই বিক্রি বাড়বে। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি সাহাবুদ্দিন বাবুল বলেন, শুরু থেকেই দর্শক থাকলেও বিক্রি কম। ১৪ ফেব্রুয়ারি ও শুক্র-শনিবার বিক্রি ভালো হয়। মেলায় আসা ১০ থেকে ২০ শতাংশ দর্শকই বই কিনছেন। বাকিরা এসে ঘুরেফিরে চলে যাচ্ছেন। আশা করছি, আস্তে আস্তে বিক্রি বাড়বে। তিনি বলেন, এবার মেলার স্থানটা দর্শকবান্ধব নয়। এখানে গণপরিবহন ব্যবস্থা নেই। সিএনজি বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে আসার মতো পাঠক-দর্শক হাতে গোনা। স্টেডিয়ামের মোড় থেকেই হেঁটে আসতে হয়। নানা কারণে সন্ধ্যার পর থেকে এদিকে মানুষ হাঁটতে চায় না। জানা যায়, অতীতে চট্টগ্রামে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বরে ছোট্ট ছোট্ট পরিসরে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বইমেলার আয়োজন করা হতো। এসব বইমেলা থাকত অনেকটা প্রাণহীন। দেখা মিলত না পাঠক-ক্রেতার। নিষ্প্রাণ সেসব মেলায় অংশ নিত না বড় প্রকাশনা সংস্থাগুলো। থাকত না পাঠক চাহিদার কাক্সিক্ষত বই। ব্যবস্থাপনায় থাকত বিশৃঙ্খলা। ২০১৯ সালে জিমনেশিয়াম মাঠে চসিকের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বৃহত্তর পরিসরে বইমেলার আয়োজন করা হয়। প্রথম বছরই ১১৫টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নেয়। ২০২১ সালে করোনার কারণে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২২ ও ২০২৩ সালেও বড় পরিসরে সফল বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর