শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা যুক্ত হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

একের পর এক মেগা প্রকল্পের কারণে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় গতিশীল হয়েছে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম। বেড়েছে কনটেইনার হ্যান্ডলিং। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর প্রবেশ করেছে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের থ্রি মিলিয়নের অভিজাত ক্লাবে। বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে বন্দরের সুনাম।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বন্দরের। সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবহারকারীরা খুশি। বন্দর এখন থ্রি মিলিয়ন ক্লাবের সদস্য। বিদেশেও বন্দরের সুনাম বেড়েছে বহু গুণ।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নেওয়া হয়েছে একের পর এক মেগা প্রকল্প। রূপকল্প ২০৪১ কে সামনে রেখে চলতি বছরের শুরু হবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রাধিকার প্রকল্প বে-টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরে। বে-টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি দুটি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বে-টার্মিনালের ৪র্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ টার্মিনালের জন্য সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য একটি বিদেশি কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, নিউমুরিং এলাকায় ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড, সদরঘাট এলাকায় লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। লাইটারেজ জেটি ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সচল করা হয়েছে ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্গো খালাস করায় লাইটার জাহাজের ওয়েটিং টাইস হ্রাস পেয়েছে। তেল খালাসের জন্য আরএম-৪ স্থলে ডলফিন জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ভোজ্য তেল খালাস আরও সহজ হয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে যুক্ত করা হয়েছে শিপ টু শোর কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, মোবাইল হারবার ক্রেন, বারাব টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন। ২০২২-২৩ সালে বন্দরের বহরে যুক্ত হয় চারটি মোবাইল ক্রেন, যার মধ্যে দুটি ৫০ টন ও দুটি ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন। এ ছাড়া ছয়টি রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৩৪টি কিউজিসি এবং দুটি কনটেইনার মোভার। এরই মধ্যে বন্দরের বহরে যুক্ত হয়েছে দুটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার। যা আজ উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বন্দরের জলসীমা সাত নটিক্যাল মাইল থেকে ৬২ নটিক্যাল মাইলে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বন্দরের জলসীমা আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পাওয়া জলসীমা সম্পূর্ণ ডিজিটাল টাইডাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে বন্দরে আসা জাহাজসমূহ নিরাপদে বহির্নোঙরে যাতায়াত করতে পাচ্ছে। যা মেরিটাইম বিশ্বে বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। লজিস্টিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৪টি টাগবোট, দুটি মরিং লঞ্চ, ২ সাইট স্ক্যার সোনাসহ নানা লজিস্ট্রিক সাপোর্ট ক্রয় করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর