সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএডিসির ধানবীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কৃষক

রংপুরে অবিক্রীত থাকছে বিপুল পরিমাণ বীজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বিএডিসির ধানবীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কৃষক

ফলন কম, নিম্নমান, তদারকি ও পরিচর্যার অভাবসহ নানা কারণে বিএডিসির ধানবীজ থেকে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। একসময় লাইন ধরেও কৃষকরা বীজ পেতেন না। বীজ বিক্রির ক্ষেত্রে দেখা দিত নানা অনিয়ম। এখন সেসব নেই। সাধারণ কৃষক বিএডিসির বীজের কথা এখন শুনতে পান না। বিএডিসির পরিবর্তে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির বীজ বাজার থেকে বেশি দামে কিনে কৃষকরা বপন করছেন। তবে বিএডিসির কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার চেয়ে বেশি বীজ উৎপাদন হওয়ায় অবিক্রীত থাকছে। জানা গেছে, কৃষক পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ধানবীজ সরবরাহ করে আসছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। গত দুই মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলে ১ হাজার ৯৩৬ টন বোরো ধানবীজ অবিক্রীত থেকেছে। প্রতি কেজি ধানবীজ ৫৬-৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও খুব একটা আগ্রহ দেখাননি কৃষকরা। পরবর্তীতে  প্রতি কেজি ৩৩-৩৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে খাদ্য হিসেবে বিক্রি করেছে বিএডিসি। নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও রংপুরে বোরো ধানবীজ বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮০৮ দশমিক ৩২৫ টন। এর মধ্যে কৃষকের প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয় ৭০০ টন। ডিলাররা উত্তোলন করেন ১ হাজার ৮৭১ দশমিক ৬১৯ টন। অবিক্রীত থাকে ৯৩৬ দশমিক ৬৯৬ টন। ২০২২-২৩  মৌসুমে ২ হাজার ৯৬৫ টন বরাদ্দকৃত ধানবীজের মধ্যে অবিক্রীত ছিল প্রায় ১ হাজার টন। বেসরকারি কোম্পানির বীজ মৌসুমের শুরুতে বাজারে পাওয়া গেলেও বিএডিসির বীজ দেরিতে পাওয়া যায়। বিএডিসি (বীজ বিপণন) রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, ‘সারা দেশে বীজের প্রয়োজন হয় প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টন। বিএডিসিসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বীজ উৎপাদন হয় ১ লাখ ২৭ হাজার টনের মতো। বীজ অবিক্রীত থাকার অন্যতম কারণ এটি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর