চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক যুবলীগ কর্মীকে খেলার মাঠ থেকে ধরে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করছে যুবলীগ কর্মীর পরিবার। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ওই যুবলীগ কর্মীর নাম তানভীর হোসেন তুর্কি (২৪)। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী তুর্কির বড়ভাই রাহাত হোসেন কফিল বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টার সময় স্থানীয় মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন তুর্কি। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে আটক করে। ওই সময়ে সাথী এলাকাবাসী গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ মারমুখী আচরণ ও ফাঁকা গুলি করে আতংক সৃষ্টি করে তুর্কিকে সাতকানিয়া থানায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে আমার আরেক ছোট ভাই হিরো তুর্কিকে দেখতে গেলে ধরে নিয়ে তাকেও থানার ভিতর কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। রাত ৮ টার দিকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তুর্কির কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েকঘণ্টা পর সাতকানিয়া থানা পুলিশ তুর্কিকে অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করে। সাতকানিয়া থানা পুলিশের এমন অন্যায় আচরণে এলাকাবাসীসহ ঘটনায় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
তিনি বলেন, আমার ভাই কোনো অন্যায় কাজ করার কারণে আইনের চোখে অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে উপযুক্ত বিচারে আমাদের কারও আপত্তি নেই। কিন্তু খেলার মাঠ থেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ধরে নিয়ে নিরস্ত্র কাউকে অস্ত্রধারী বানানো কতবড় অপরাধ হতে পারে? তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাইকে অস্ত্রধারী বানানোর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও সাজানো অস্ত্র উদ্ধার মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত প্রার্থনা ও জোর দাবি জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন যুবলীগ কর্মী তুর্কির মা চেমন আরা, চাচা আহম্মদ কবির, চাচি শাহেদা আক্তার, নুর নাহার, বোন শাহেদা আক্তারসহ আরও অনেকে।
