মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

নারী কর্মীদের বিদেশযাত্রা কমেছে

নেপথ্যে নিরাপত্তাহীনতা নির্যাতন ও হয়রানি

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলা থেকে কর্মসংস্থানের সন্ধানে গত এক দশকে বিদেশ গেছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ। তার মধ্যে নারীকর্মীর সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজারের কম। পাঁচ বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীদের নিরাপত্তাহীনতা, যৌন নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো বন্ধ না হলে এ সংখ্যা আরও কমে যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম থেকে নারীকর্মীর বিদেশযাত্রার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪২২ জন। তার মধ্যে সৌদি আরবে ৭১২ জন, ওমানে ৪৪১ জন, কাতারে ৭৭ জন, দুবাইয়ে ৮৩ জন, অনান্য দেশে ১০৯ জন। এরপর গত ২০২৩ সালে মোট বিদেশগামী নারীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫৯৫ জনে। শতকরা হিসেবে কমেছে ৫৮ শতাংশর মতো। ২০১৭ সাল থেকে কমতে আছে নারীকর্মীর বিদেশযাত্রা। তার মধ্যে ২০১৮ সালে ৯৫৮ জন, ২০১৯ সালে ৮০৬ জন, ২০২০ সালে ১৮৮ জন, ২০২১ সালে ৫০৭ জন, ২০২২ সালে ৮০৭ জন। সৌদি আরবে ২০১৭ সালে নারীশ্রমিকের যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৭১২ জন, ২০২০ সালে তা নেমে আসে মাত্র ৬৫ জনে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের সন্ধানে গেছেন ২০৮ জন নারী। প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন শরিফুল হাসান বলেন, বিদেশে যাওয়া অঞ্চলের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি অঞ্চল এগিয়ে আছে। এসব অঞ্চল থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের খোঁজে পুরুষকর্মী যাওয়ার সংখ্যা বেশি। তবে কোনো সময়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সেভাবে নারীকর্মী যায়নি। তবে যে সংখ্যক নারীকর্মী যেত গত কয়েক বছরে তা অনেকাংশে কমে এসেছে। মূলত নেতিবাচক প্রচারণা, নির্যাতনের খবরের কারণে এ সংখ্যা কমছে। চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী দাবি করেন, ওমানসহ কয়েকটি দেশে ভিসা ইস্যু বন্ধ রয়েছে। সৌদি আরবেও এখন কর্মীর চাহিদা নেই। যার কারণে নারীকর্মী যাওয়ার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। যদি ওমানসহ ভিসা বন্ধ দেশগুলোতে ভিসা ইস্যু করা হয় তাহলে আবারও বাড়বে। এখানে নির্যাতন বা হয়রানির বিষয়গুলো এখন আর নেই। ছোটখাটো কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটার সমাধান করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর