শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাঞ্ছারামপুরে সহস্রাধিক রোগীকে বসুন্ধরার ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

বাঞ্ছারামপুরে সহস্রাধিক রোগীকে বসুন্ধরার ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সহস্রাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজ ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল এবং ভিশন কেয়ারের যৌথ উদ্যাগে এমন সেবা দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা বয়সের মানুষ এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়েছেন। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এন্টনি এলবার্ট, ডা. আকতার ফেরদৌসী জাহান ও অপটোমেট্রিস্ট রুবেল রানাসহ ১২ জনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেন। বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক রোগী দেখা হয়েছে। এবার প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাদের চোখে ছানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য ঢাকার বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে, মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতের নাগালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ঘরে বসে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশনের খবরে তারা মহাখুশি। নোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজ আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. জাফরুল ইসলাম, ট্রেজারার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, পিপিএস ফসিহুর রহমান, পরিচালন নোটারি ফাউন্ডেশন দীপক কুমার বড়াল, সেক্রেটারি জেনারেল মো. শামীম মিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ মমিন মিয়া, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ। রোগী আবদুর রহমান (৬০) বলেন, বাড়ির কাছে এই সুবিধা পাইছি। চোখ দেইখা চোখের ড্রপ ও চশমাও দিছে। ডাক্তারসহ হগলের লাইগা দোয়া করি। রোজিনা বেগম (৭০) বলেন, টেহার অভাবে এতদিন চিকিৎসা করাতে পারিনি। এবার বসুন্ধরা আমাগোরে চশমা ও চোখের ড্রপ দিছে বিনা পয়সায়। পরে নাকি ছানি অপারেশনও করে দিব টাকা ছাড়া। আল্লায় এত সুযোগ দিয়েছে হগলের লাইগা দোয়া করি। রেহেনা বেগম (৫৫) বলেন, এই ক্লাব এবং বসুন্ধরা আমাগরে এই সুযোগটা করে দিয়েছে। বসুন্ধরা আমাগরে বারবার অনেক সুবিধা দেয়। আল্লাহর কাছে সব সময় হেগলাইগা দোয়া করি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর