শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খালের জায়গায় অবৈধ ভবনসহ তিন স্থাপনা ভেঙে দিল ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালের জায়গায় অবৈধ ভবনসহ তিন স্থাপনা ভেঙে দিল ডিএনসিসি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গতকাল লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ময়লা পরিষ্কার করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর বসিলায় লাউতলা খাল পরিচ্ছন্ন এবং খালের জায়গায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। খাল পরিষ্কারে অংশ নেওয়ার পরই খালের অংশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি ১০ তলা ভবনসহ তিনটি স্থাপনা ভেঙে দেয় সংস্থাটি। গতকাল সকালে মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই পরিষ্কার ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর আগে সকাল ১০টার দিকে বছিলায় অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চল পুলিশ লাইন মাঠে (বছিলা ট্রেনিং একাডেমি) ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর সকাল ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দিতে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম হাতে গ্লাভস পরে নিজে খালে নেমে ময়লা পরিষ্কারের কাজ করেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মৃত এই খালকে আবার জীবিত করতে চান বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র। বেলা ১১টার দিকে রামচন্দ্রপুর ও লাউতলা খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হয়। প্রথমে খালের মোহনার জায়গা দখল করে বানানো একটি আধপাকা ও একটি পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভাঙার কাজ। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা খালের সীমানা মেপে দেখেন নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ ভাগই খালের জায়গার ওপর বানানো হয়েছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ডিএনসিসি ভেঙে ফেলা হয়। খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়।

কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই। মেয়রের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর