মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কাঁটাতার কোনো বাধা নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কাঁটাতার কোনো বাধা নয়

কাঁটাতারের বেড়া দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা প্রেস ক্লাবের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও লেখক হারুন হাবীব, ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শিল্পী হাশেম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত দে। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার জনগণ যে অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য। ভৌগোলিক, ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক নৈকট্যের কারণে যে আত্মার সম্পর্ক বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে রয়েছে, সেটিকে আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ত্রিপুরার সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, ত্রিপুরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থান। এই রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে বলেন, ত্রিপুরার ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশের সঙ্গে গাঁথা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫টি রাজ্যের সীমানা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার আত্মার সম্পর্ক। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মানুষ রাজনৈতিক কারণে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন, বিদেশি বলে চিহ্নিত। কিন্তু নদীর পানি মাঝখানে কাটলে যেমন আলাদা হয় না, তেমনই উভয় পাশের মানুষকে তারকাঁটা দিয়ে আলাদা করা সম্ভব নয়।  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে ত্রিপুরার সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ত্রিপুরার অবদানও ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ভিসা ও ইমিগ্রেশন জটিলতা নিরসনে দুই দেশের সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি। আলোচনা সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের চুক্তি : জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. এম ফখরুল ইসলাম, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন। এ সময় অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তির কারণে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় ছাড় পাবেন। ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. এম ফখরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে থাকতে চাই।

 

সর্বশেষ খবর