শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

আমনের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ

রংপুর - সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ধান-চাল সরবরাহ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগে বোরো ধানের মতো আমন ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৪ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। চালের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এবার রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ৩৩৩ মেট্রিক টন। সেখানে অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৯৮২ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৪ শতাংশ। অপর দিকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৯ মেট্রিক টন। আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ২৯৬ মেট্রিক টন। গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ধান-চাল ক্রয় শুরু করে খাদ্য বিভাগ। এর মধ্যে সময় বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪৩ টাকা, আতপ চাল ৪০ টাকা এবং ধান ৩০ টাকা কেজি দাম ধরা হয়েছিল। বোরো মৌসুমেও  ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। ধান সংগ্রহের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, ধান-চাল সরকারি মূল্যে গোডাউনে বিক্রি করলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের উৎপাদন খরচ উঠছে না। সরকারের নির্ধারিত দামের তুলনায় বাজারে দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও সরকারি মূল্যে চাল ও ধান সরবরাহ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১২ হাজার টাকার ওপর। এক বিঘা জমির ধান সরকারি মূল্য ১০ হাজার টাকার কিছু ওপরে। সরকারি মূলে ধান বিক্রি করলে কৃষকদের বিঘাপ্রতি লোকসান হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা।

অপরদিকে চাল ব্যবসীয়দের প্রতি কেজিতে আর্থিক ক্ষতি হবে দু-তিন টাকা। সরকারি মূল্যে গোডাউনে ধান দিয়ে কৃষকদের লাভ তো দূরের কথা উৎপাদনের ব্যয়ও উঠছে না বলে অনেক কৃষক অভিযোগ করেন। বিঘায় প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা কম পাবেন কৃষকরা উৎপাদন খরচের চেয়ে। তাই এবার সরকারি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর