মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার

বাজারে মনিটরিং নেই খুলনায়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

রোজার আগেই খুলনায় অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজার। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ছোলা, ডাল, খেজুরসহ পিঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দিকে আঙুল তুলছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্যের সংকট নেই দাবি করলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজার অস্থিরতার কথা জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। এদিকে পণ্যের দাম লাগামহীন হলেও খুলনায় বাজার মনিটরিং শুরু করেনি জেলা প্রশাসন বা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

খুলনায় বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজা সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যস্ততাও চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। বড় বাজারে পাইকারি ক্রেতা জি এম আবিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে সংকট না থাকলেও হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম। গত বছর রোজার থেকে চিনি, ছোলা, ডাল, পিঁয়াজ, বেসনের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত। কয়েকদিনের ব্যবধানে ৮০-৮৫ টাকার ছোলা ১০৫ টাকা, ৯৫ টাকার ছোলার ডাল ১১০ টাকা, কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বেসন ১০০ টাকা, ১২২ টাকার মুগ ডাল ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে দেশি পিঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এক রাতের মধ্যে বাজার এলোমেলো হয়ে যায়। রাতে একদাম, সকালে শুনি আরেক দাম। বড়বাজার ফল পট্টির খেজুর বিক্রেতা মো. ইমরান গাজী বলেন, এবার দাম বেশি বেড়েছে খেজুরের। বাজারে বেশি বিক্রি হয় জায়েদি, দাব্বাস, সাফারি ও সুগাই নামের খেজুর। রোজার আগে খেজুরের দাম প্রতি কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। বাজারে ৫০০ টাকার নিচে কোনো খেজুর নেই। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, মোকামে আমদানিকারকরা যেই দাম নির্ধারণ করেন সেই দামে কিনতে হয়। তারা ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামের কথা বলেন। আমরাও যেই দামে কিনি, সেই দামের সঙ্গে সমন্বয় করে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে পণ্য মূল্য আরও বেশি। ফলে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে পণ্যের দাম লাগামহীন হলেও খুলনায় বাজার মনিটরিং শুরু করেনি জেলা প্রশাসন বা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১১ মার্চ বৈঠক আহ্বান করেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। তিনি বলেন, প্রাথমিক মনিটরিং শুরু করতে বলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

একইভাবে অবৈধ মজুদদার বা কারসাজি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, খুলনার সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব। তিনি বলেন রোজায় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত তদারকি থাকবে। প্রতিটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করার ব্যাপারে পরিকল্পনা আছে। রোজায় বাজারটা যাতে নিয়ন্ত্রিত থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর