রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আবাসিক ও অনাবাসিক দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলেজের শাহজাহান কবীর ছাত্রাবাসের ছাত্রদের গতকাল বিকাল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভিতরের মাঠে কলেজ হোস্টেলের একদল শিক্ষার্থী মাদক সেবন করছিলেন। এতে কলেজের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় লাঠি, ক্রিকেট খেলার ব্যাট, স্ট্যাম্প নিয়ে উভয় পক্ষ চড়াও হয়। এ ঘটনায় মামুন মিয়া (২১) ও প্রতীক হাসান (১৯) গুরুতর আহত হলে তাদের কলেজের অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে মামুনের অবস্থা গুরুতর।
আহত শিক্ষার্থী প্রতীক হাসান ও কম্পিউটার বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ফারুক মিয়া বলেন, কলেজ হোস্টেলের ছাত্ররা কলেজে বেপরোয়া আচরণ করে আসছে। তারা কলেজে অবাধে মাদক সেবন করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের মারধর করে। আমরা শিক্ষার্থী নামধারী এসব সন্ত্রাসীর বিচার চাই। রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবিবার শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ছাত্রদের বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।