রপ্তানি আয় ভালো অবস্থানে নিতে দেশের পোশাক পণ্যের বৈচিত্র্যতার দিকে নজর দিচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। গত তিন বছরে তৈরি পোশাক উৎপাদনে কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার ২৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে নন-কটন ফাইবারে ১৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন পড়বে। এতে দেশে ৮ বছরে ৪২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় আসবে। রবিবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি করেছে আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা ওয়াজির অ্যাডভাইজার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী পোশাক তৈরিতে নন-কটন ফাইবার ব্যবহৃত হয় প্রায় ৭৫ শতাংশ। বিপরীতে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পণ্যের ৭১ শতাংশই সুতার ওপর নির্ভরশীল। নন-কটনে যদি ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়, তাহলে বাংলাদেশ ২০৩২ সালের মধ্যে ৪২ বিলিয়ন ডলারের নন-কটন গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কৃত্রিম ফাইবার ব্যবহার করে বিজিএমইএ স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারের শেয়ার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। কারণ কৃত্রিম তন্তু থেকে তৈরি পোশাক পণ্যের দাম বেশি।
সাম্প্রতিক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে পোশাক খাতের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, আমরা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন করি। স্থানীয় বাজার থেকেও কাঁচামাল সংগ্রহ করি। ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব কিছুরই দাম বেড়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি খুবই বেশি, এ সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় আমাদের উৎপাদন ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।