মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোজার আগেই দাম বাড়ছে ফলের

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা

রাশেদ হোসাইন

আর এক সপ্তাহ পরই পবিত্র রমজান। রমজানে ইফতারের খাদ্য তালিকার অন্যতম অনুষঙ্গ ফল। রমজান না আসতেই দাম বাড়তে শুরু করেছে ফলের। ইফতারের সময় যেসব ফলের চাহিদা বেশি থাকে এর বেশির ভাগ ফলই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বিশেষ করে আপেল, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি ও আঙুর। আমদানি করা এসব ফলের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। দাম বাড়ার জন্য বাড়তি দরে শুল্কায়ন ও ডলার সংকটকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে। মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। বাজারে দেশি মাল্টার সরবরাহ কম। ২২০ টাকা কেজির আমদানি করা মাল্টা কিনতে হচ্ছে ২৭০ টাকায়। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আপেল ও কমলার দামও বেড়েছে। আপেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও যা ৩০০ টাকার নিচে ছিল। লাল আপেলের দুটি পদ। সপ্তাহখানেক আগেও ২৫০ টাকার আশপাশে দাম ছিল, এখন কিনতে হচ্ছে ২৮০ টাকায়। দেশি কমলা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি হচ্ছে। আমদানি করা কমলা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কমলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা। আনারের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে কালো আঙুর। মালিবাগ বাজারের ফল বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে ফলের দাম বেড়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে ফল আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে ফলের দাম বাড়ছে। দেশি ফলের মধ্যে তরমুজ, বেল, কলা, পেয়ারা ও বাঙ্গি রাখতে দেখা যায় ইফতারে। এ বছর দেশি ফলের দামও বেশি। প্রতি পিস বেল খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১ হালি দেশি শবরি কলা, বাঙ্গি ছোট সাইজ ৬০ থেকে ৮০ এবং বড় সাইজ ১০০-১২০ টাকা, পেয়ারার কেজি ৮০ টাকা। তরমুজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। রায়েরবাগের তরমুজ বিক্রেতা শরিফুদ্দিন বলেন, ‘নতুন ফল এখনো বাজারে আমদানি নেই। তাই দাম একটু বেশি। এখন কেজি দরে বিক্রি করছি, তরমুজ পুরোদমে বাজারে এলে পিস হিসেবে বিক্রি করব।’ বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে জাহাজ এখন দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে ঘুরে আসে। আগে যেখানে ২২ থেকে ২৫ দিনে জাহাজ আসত, সে জাহাজ এখন চট্টগ্রাম পৌঁছাতে ৪৫ থেকে ৫০ দিন লেগে যায়। অনেক সময় দেখা যায় ৭০ দিন লাগছে। এ গ্যাপের কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। মাল্টা ছাড়া নাশপাতি ও কমলার দামও কিছু বেড়েছে। এর পরও ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক বহাল রয়েছে। নতুন করে নাশপাতি ও কমলার শুল্কায়ন ভ্যালু ৪০ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ৭০ সেন্ট করা হয়েছে। তার প্রভাব বাজারে পড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর