মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলন

মণিপুর স্কুলকে গ্রাসকরণ চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজকে পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়ে গ্রাস করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, এমপিওভুক্তি বাতিল করে অবৈধভাবে ট্রাস্ট গঠন করে তার অধীনে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার চেষ্টা করছে একটি মহল। এ অবস্থায় অভিভাবকরা মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কোনো সেনা কর্মকর্তাকে বা শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গভর্নিং বডি গঠনের দাবি জানানো হয়। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকরা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিভাবকদের পক্ষে মো. একলিমুর রেজা কোরাইশ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন। এতে বলা হয়, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার কিছু মন্তব্য করেছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে না থাকতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৬ সালের আগস্টে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনের পর এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতির চেয়ারে তার মেয়ে রাশেদা আক্তারকে বসান। তিনি অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা বিস্তারের পাশাপশি স্বেচ্ছাচারিতাও চলেছে। প্রতি বছর অভিভাবকদের জন্য অসহনীয় হয়ে ওঠে পুনঃভর্তি ও বিভিন্ন খাতে অযৌক্তিক ফি আদায়ের ঘটনায়। ১৫০ টাকা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আইসিটি চার্জ গ্রহণ করা হয় কিন্তু এ জন্য কোনো সুফল মেলেনি। তারা বলেন, মণিপুর স্কুলে বার্ষিক আয় প্রায় শত কোটি টাকার ওপরে। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তিবাণিজ্যে আয় হয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা।

দুদকের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমিটির সদস্য ও এডহক কমিটির সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন ৪০০ কোটি টাকা, সাবেক অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন ৩০০ কোটি টাকা এবং অধ্যক্ষের পিএ হুমায়ুন ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া, কবিতা আক্তার ও স্কুলের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর