বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও রমজানে দাম স্বাভাবিক রাখা নিয়ে চ্যালেঞ্জ

পণ্যবাজার মনিটরিংয়ে চলছে অভিযান

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

রমজানের অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে এখনো নেই সুখবর। রমজান শুরুর আগেই আমদানিকারকরা ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়েছেন। এই সঙ্গে ঠিক রয়েছে সরবরাহ চেইনও। তার পরও নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বৃদ্ধি, এলসি জটিলতা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানিকারকরা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাজারে রমজানের অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। কিন্তু আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। যদিও সরকার রমজান ঘিরে কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত দু-এক মাস আগে নিলেও জনগণ উপকৃত হতো। কারণ শুল্ক কমানোর ঘোষণার আগেই প্রয়োজনীয় সব পণ্য আমদানি করে গুদামজাত করেছেন আমদানিকারকরা।’ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যবসায়ী রমজানকে টাগের্ট করেই অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেন। এ সুযোগসন্ধানী গ্রুপটির কারণে এবারও বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যতদিন বাজার মনিটরিং শক্তিশালী না হবে, ততদিন এ মজুতদার চক্রের অপতৎপরতা বন্ধ হবে না।’ আমদানিকারকদের মতে, রমজানের অতিপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের চাহিদা পূরণে বড় অংশই আমদানি করা হয়। চলমান ডলার সংকটের কারণে আমদানি বিল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে এসব পণ্যের দামে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বুকিং দর বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে; যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই অস্থির রমজানের অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে পিঁয়াজ, ছোলা, মটর, মসুর ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল, খেজুর ইত্যাদি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর