শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রংপুরে কৃষি সেক্টরে নারীর মজুরি এখনো পুরুষের অর্ধেক

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে কৃষি সেক্টরে নারীর মজুরি এখনো পুরুষের অর্ধেক

রংপুর অঞ্চলের কৃষি সেক্টর নারীর হাতের মুঠোয় থাকলেও তারা সমমজুরি পান না। নারী হওয়ায় পুরুষের সমান কাজ করেও মজুরি পাচ্ছেন অর্ধেক। এমন বৈষম্যের শিকার হয়ে বঞ্চনার জীবন পার করছেন তারা। নারী শ্রমিক দিনহাজিরায় কাজ করে পাচ্ছেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পুরুষ পাচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার ওপরে। রংপুরের চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের বাস। একসময়ের অবস্থাপন্ন এসব পরিবার নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে কোনোমতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোয়। শ্রম বিক্রিই তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। তিস্তার চরাঞ্চলে এখন চলছে বোরো চারা রোপণ, খেত থেকে আলু উত্তোলনসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুম। আর এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছে নারী শ্রমিক। রংপুর কর্মজীবী নারী সংগঠন, কৃষিশ্রমিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটিসহ বেশকটি এনজিওর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলের অধিকাংশ পুরুষ শ্রমিক অভিবাসী। এরা জীবিকার তাগিদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। পুরুষ শ্রমিক বাড়ির বাইরে অবস্থান করায় এ অঞ্চলে প্রতি বছর নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। নারী এখন খেতে কাজ করছে। বীজতলা লাগানো, পরিচর্যা, নিড়ানি, ফসল ঘরে তোলাসহ সব ধরনের কাজ করছে। কৃষি সেক্টরের প্রতিটি বিভাগই নারীর হাতে। কিন্তু মজুরির বেলায় পুরুষের চেয়ে অনেক কম পাচ্ছে। এখন সড়ক-মহাসড়কের পাশে দাঁড়ালেই দেখা যায় শত শত নারী শ্রমিক খেতে ব্যস্ত সময় পার করছে। মিঠাপুকুরের কহিনুর বেগম, জোবেদা বেগমসহ কয়েকজন কৃষিশ্রমিক বলেন, ‘সারা দিন কাজ করে আমরা পাই ২৫০-৩০০ টাকা। একই সমান কাজ করে পুরুষ পাচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। এ অবস্থা বছরের পর বছর চলে এলেও কোনো প্রতিকার নেই। সব সময়ই এখানে পুরুষের অর্ধেক দেওয়া হয়। এ সামান্য টাকায় সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।’

একই এলাকার কর্মরত পুরুষ শ্রমিক মাজেদুল ইসলাম জানান, তারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মজুরি পান। তারা আলুসহ বিভিন্ন সবজি খেত থেকে তুলে বস্তায় ভরে এ টাকা পান।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর