শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মারমুখী

ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশের সঙ্গে আস্ফালন ঘটনার তদন্তে আরএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ফাঁড়িতে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আস্ফালন করেছেন স্বেচ্ছাবেসক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহেদ খান টিটু। তার মারমুখী আচরণের তদন্ত করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আরএমপিতে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় চলছে। টিটু রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। তিনি এক সময় রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছিলেন। উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আসেন। তার আগের ঘটনা এটি। ফাঁড়িতে ঢুকে টিটুর এমন আচরণের পর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহেদ খান টিটু অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

সূত্র জানায়, নগরীর উপশহর পুলিশ ফাঁড়িটি ক্যান্টনমেন্ট লাগোয়া। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী আসার আগের দিন উপশহর দিয়ে তিনজন যুবক হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ফাঁড়িতে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের ওই তিন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের তল্লাশি করে। এ সময় কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই তিন যুবক নিজেদের স্বেচ্ছাসেক লীগ নেতা টিটুর লোক বলে পরিচয় দেয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর টিটু ওই তিন যুবককে সঙ্গে করে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন এবং যে সব পুলিশ সদস্য ওই তিন যুবককে আটক করেছিল তাদের হাজির করতে বলেন। একপর্যায়ে ফাঁড়ির মধ্যে ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. আরিফসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামের ওপর চড়াও হন। ফাঁড়ির ইনচার্জের সামনেই তাকে গালি দিয়ে মারতে তেড়ে যান। এ সময় এক রাজনৈতিক নেতার ড্রাইভার টিটুকে থামান। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে আছে।

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে আসার আগ দিয়ে রাজশাহীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়। আমাদের ফাঁড়িটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই। ওই দিন তিনজন যুবক মোটরসাইকেলে চড়ে উপশহর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের দেখে সন্দেহ হলে তল্লাশির জন্য থামানো হয়। এ সময় তারা টিটু ভাইয়ের লোক বলে পরিচয় দেয়। টিটু ভাইকে আমরা চিনি। তল্লাশি শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং হেলমেট পরতে বলা হয়। পরে ওই যুবকদের সঙ্গে করে নিয়ে টিটু ফাঁড়িতে আসেন। এর পর যা ঘটেছে তার সবই আমার অন্যান্য সহকর্মীসহ ফাঁড়ির ইনচার্জের সামনেই হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর