মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সেমিনারে বক্তারা

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তা ছাড়া হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত, হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়া, স্থূলতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণেও কিডনি রোগ হয়। সঙ্গে ধূমপায়ী এবং ষাটোর্ধ্বদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কিডনি রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজান্না বিনতে কামাল। অতিথি ছিলেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুস সাত্তার, চমেক নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রবিউল করিম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ কাসেম। দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালি চমেকের শাহ আলম বীরউত্তম মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে চমেক হাসপাতালে এসে শেষ হয়।

চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা বলেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথমেই রোগ নির্ণয় করার জন্য রোগীর রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্রোলাইটসহ অন্যান্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। রোগীর রক্তচাপ কম থাকলে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করাও জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত না হওয়ার কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হয়ে কিডনি ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্টেজিংয়ের দিক থেকে এটি শেষ পর্যায়ের কিডনি রেনাল ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

 

 

সর্বশেষ খবর