শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস রচিত হচ্ছে : মেজর হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস রচিত হচ্ছে : মেজর হাফিজ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্যে বিতর্কিত করা হয়েছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিদের কবিতার মতো ইতিহাসও রচিত হচ্ছে। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ। কিন্তু এখন আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আলোচনা সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, বাঙালি সংগ্রামী জাতি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজ হোক আর কাল হোক সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণ আবার তাদের মৌলিক অধিকারগুলো ফিরে পাবেই।

এই সংগ্রামে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চের পর শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। এটি খুব কঠিন। লাখ লাখ মানুষ তার জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এ অংশটি সম্পর্কে শাসক দল নীরব। কারণ সেখানে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।

তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা মেজর হাফিজ বলেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান অসীম সাহসী ছিলেন। তবে এখনকার শিশুদের মনে এই ধারণা দেওয়া হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের এজেন্ট। অথচ আমি এখনো জীবিত আছি। আমি মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা যদি প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হতেন তাহলে আজও দেশ পাকিস্তান থাকত। কারণ পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর মতো নিরস্ত্র বাঙালির কাছে কোনো হাতিয়ার ছিল না। আমরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।

মেজর হাফিজ বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর জন্য দেশের সাধারণ মানুষকে অন্ধকারের মধ্যে রাখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব আছে। স্বীকার করি। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন পর্যায়- যেখানে জীবন দিতে হয়, সেখানেই এগিয়ে এসেছে বাঙালি সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।

সর্বশেষ খবর