রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রংপুরে ল্যাবরেটরি নেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ বেশকটি প্রতিষ্ঠানের

পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খাদ্যের গুণগতমান না থাকা ও ভেজাল প্রতিরোধে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন। রংপুরে বিএসটিআই বাদে খাদ্যের গুণগতমান পরীক্ষার ল্যাবরেটরি নেই কোনো সংস্থারই। তারা অনুমানের ওপর নির্ভর করে পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করেন। সন্দেহ হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে জেল-জরিমানা করা হয়। অনুমাননির্ভর পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পণ্যের মান এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন দফতর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসব আদালতে জরিমানাও করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে-পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর পরীক্ষাগার নেই কেন? তাহলে কীসের ভিত্তিতে পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভও রয়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করতে রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় সরকার নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রি করার অভিযোগে তিন খেজুর ব্যবসায়ীকে সতর্কতামূলক ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক আজাহারুল ইসলাম। রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, পণ্যের মান ঠিক রাখতে বিভিন্ন দফতর অভিযান চালাতেই পারে। তবে কীসের ভিত্তিতে তারা পণ্যের মান নির্ধারণ করছেন তা-ও দেখার বিষয়।

তবে কিছুটা আশার আলো রয়েছে, তা হলো খাদ্যের গুণগতমান পরীক্ষায় রংপুরে আগামী মাসে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রংপুর মেট্রোপলিটন কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এ ল্যাবরেটরিতে দুধ, ভোজ্য তেল, মরিচের গুঁড়া, ডাল, সবজি, মধু, রুটিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে মেশানো ক্ষতিকর উপাদান শনাক্ত করা যাবে। এ ছাড়া এ ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন খাদ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করা যাবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এ ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি পরিচালিত হবে।

রংপুরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, পণ্যের মান পরীক্ষা করার জন্য তাদের কোনো ল্যাবরেটরি নেই।

বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ল্যাবরেটরি রয়েছে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাগার আছে কি নাই তা আমার জানা নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর