রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

‘ইন্ডিয়া আউট’ বলে সম্পর্ক বৈরিতার পর্যায়ে নেওয়া সমীচীন নয় : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ইন্ডিয়া আউট’ বলে সম্পর্ক বৈরিতার পর্যায়ে নেওয়া সমীচীন নয় : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ইন্ডিয়া আউট বলে সম্পর্ক বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াও সমীচীন নয়। গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জে এল ভৌমিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্পর্ক ভালো বলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে ৬৮ বছরের সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন।

আমি এই কৃতিত্ব দেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে।

 দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল তাঁরা ভেঙে দিয়েছেন। অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল রেখে কোনো কিছু সমাধান সম্ভব নয়। আজকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ও গঙ্গা চুক্তিও আমরা করেছি। তিস্তা নদী নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং এর সমাধানও অবশ্যই হবে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর কারা বাংলাদেশে শাসন করেছিল, এ প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই সময়টিতে তারা প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরিতা তৈরি করেছিল বলেই দুই দেশের মধ্যে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলোচনার টেবিলে বসে যে কোনো বড় সমস্যা সমাধান করা যায়। ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত সমস্যার সমাধান তার উদাহরণ। যে দেয়াল তৈরি হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সে দেয়াল শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুর ভাবনাটিই একটা দাসত্বের শিকল, এ শিকল ভেঙে দিতে হবে। মুসলমানের ভোট বা হিন্দুর ভোটে কোনো পার্থক্য আছে? মুসলমানের একটি ভোটের যে মূল্য হিন্দুর একটি ভোটেরও একই মূল্য। সংবিধান সাম্প্রদায়িক নয় তাই কোনো পার্থক্য নেই।

দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে বা যারাই করুক সিন্ডিকেট, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সরকার এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কাজ করছে। শেখ হাসিনা তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষকে কীভাবে বাঁচানো যায়, তা নিয়ে ভাবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের প্রভাব ভারতেও পড়েছে। ভারতে জিনিসপত্রের দাম কম আর বাংলাদেশে বেশি বিষয়টি এমন নয়। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখন একটি মহল ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো শুরু করে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর