সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সচেতন না হলে ১০টা বার্ন হাসপাতাল করেও লাভ নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘যে কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নিজেদের সুরক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষকে সচেতন না করতে পারলে,  ১০টা বার্ন হাসপাতাল করেও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারব না। সম্প্রতি বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডসহ বেশ কিছু ঘটনায় বাস্তব প্রমাণ পেয়েছি।’ গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে স্বাচিপ আয়োজিত ‘সিপিআর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বেইলি রোডে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে যাদের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের শরীর পুড়েনি। তারা শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। সে সময় তাদের যদি উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া যেত, তাদের অনেকেই কিন্তু বেঁচে যেতেন।

তিনি বলেন, যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি যে কোনো স্থানেই মানুষ অসুস্থ হতে পারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে, এ জন্য সিপিআর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই কর্মসূচি আমরা যত করতে পারব, ততই মানুষের উপকার হবে। চিকিৎসকদের প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সঞ্চালন করেন স্বাচিপের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার ১০-১১ শতাংশ মানুষকে বাঁচানো সম্ভব যদি সময়মতো সিপিআর দেওয়া যায়। চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন সাধারণ মানুষও বেসিক লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রোগীকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশে রাস্তার নির্দিষ্ট স্থানে এইডি ডিভাইস থাকে, যা দিয়ে আরও বেশি কার্যকর সিপিআর দেওয়া যায়। যেখানে এই ডিভাইস নেই সেখানে হাসপাতালে নিয়ে অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট দেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর