শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

চার জেলায় অর্থনৈতিক জোন চান ডিসিরা

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস

ওয়াজেদ হীরা

বরিশালের ভোলা, খুলনাসহ চার জেলায় অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কাছে প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা। বরিশালের ভোলা জেলা, খুলনা, সাতক্ষীরা ও শরীয়তপুর জেলায় এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা বলেছেন এবারের ডিসি সম্মেলনে। ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে, রপ্তানি আয় বাড়বে বলে মনে করছেন ডিসিরা। বৈঠকে এ বিষয়ে ডিসিদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে যত্রতত্র না করে প্রয়োজনীয়তা দেখে ইকোনমিক জোন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এর অংশ হিসেবে বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নতুন সরকার গঠনের পর চলতি মাঠে প্রথম ডিসি সম্মেলনেও উঠে আসে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রসঙ্গ। এবারের ডিসি সম্মেলনে ৩৫৬টি প্রস্তাব তোলা হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে চারটিই ছিল অর্থনৈতিক অঞ্চল করার বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সম্পর্কিত বিষয়ে ডিসিরা এ অর্থনৈতিক জোনের প্রস্তাব করেন। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ভোলা জেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ভোলায় কোনো অর্থনৈতিক জোন নাই। অর্থনৈতিক জোন হলে বরিশাল বিভাগে ব্যাপক কর্মসংস্থান হওয়া, মৎস্য প্রক্রিয়াজাত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির সুযোগ হবে। শিল্পায়নের ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি এবং ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ থাকার কথা প্রস্তাবের পক্ষে তুলে ধরেন। খুলনার ডিসি খন্দকার ইয়াসির আরেফীন খুলনা জেলা অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তিতে বলেন, খুলনায় কোনো অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা হলে পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগবে। উৎপাদিত পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ হবে। খুলনায় ব্যাপক কর্মসংস্থান সুযোগ হবে এবং শিল্পায়নের ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে। সাতক্ষীরা ডিসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির নিজের জেলায় ইকোনমিক জোন করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, সাতক্ষীরায় কোনো অর্থনৈতিক জোন নেই। পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ হওয়া, সাতক্ষীরা ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন।

শরীয়তপুর জেলার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ শরীয়তপুরে ইকোনমিক জোন না থাকার কথা তুলেছেন। অর্থনৈতিক জোন হলে কর্মসংস্থান বাড়বে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ জেলার অর্থনীতি শক্তিশালী হবে উল্লেখ করেছেন প্রস্তাবের পক্ষে। চার জেলায়ই বাস্তবায়নের সুপারিশে বেজার মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ে ৯ প্রস্তাব : এ ছাড়াও, শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯টি প্রস্তাব তুলেছেন ডিসিরা। ময়মনসিংহে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন প্রস্তাব দেন ময়মনসিংহের ডিসি। ভোলায় ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন, পার্বত্য এলাকায় কেপিএম ও কেআরসি অধিভুক্ত এলাকায় নতুন শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। ঢাকার ডিসি প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে কেমিক্যাল কারখানা স্থানান্তরের। সাতক্ষীরার ডিসি শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে মধু গবেষণাগার নির্মাণের কথা বলেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি জেলায় আম হিমাগার ও ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণের কথা বলেছেন। গাজীপুরের ডিসি শিল্প কারখানা নির্দিষ্ট অঞ্চলে স্থানান্তর করে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর