মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
হাই কোর্টেও মন্তব্য

বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ কোনো বিদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচারব্যবস্থা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। সম্প্রতি পিটার হাস বলেছেন, ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পিটার হাসের এ বক্তব্য আদালত অবমাননা উল্লেখ করে বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ সময় হাই কোর্ট তার কাছে জানতে চান, কোনো রাষ্ট্রদূত যদি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেন সেক্ষেত্রে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কি না? জবাবে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কনটেম্পট প্রসিডিং ড্র করতে পারেন না এবং তলব করতে পারেন না। তবে পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন। এরপর আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিশিয়াল পেজে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ড. ইউনূসকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আতিথেয়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আরও লেখা হয়, ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর