শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভাড়ায় ডেকে বাইক ছিনতাই

পরিচয় গোপন রাখতে মুখ পুড়িয়ে ফেলা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোটরবাইক ছিনতাই করতে হত্যা করা হয় চালক সাইফুল ইসলামকে। পরিচয় গোপন রাখতে সাইফুলের মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রোমহর্ষক এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মাশুক মিয়া (২৯) ও আল-ইমরান ফয়সাল (৪৪) নামে দুজনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র?্যাব। রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এবং রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে র?্যাব-১৪-এর একটি দল। গতকাল দুপুরে কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 তিনি বলেন, নেত্রকোনায় পৌঁছার আগে রাস্তার পাশের পাথর দিয়ে সাইফুলকে পেছন থেকে মাথায় সজোরে আঘাত করা হয়। অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা। সবশেষ সাইফুলের মোটরসাইকেল মাশুক তার ভাগনেকে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

খন্দকার মঈন বলেন, ভাগনের জন্য একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে মাশুক ২৫ হাজার টাকা দেন ফয়সালকে। তবে ফয়সাল টাকা নিয়েও বাইক দিতে না পারায় চাপ দিতে থাকেন মাশুক। চাপে ফয়সাল বাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতেন সাইফুল। ঘটনার তিন দিন আগে মাশুক ও ফয়সাল ভুক্তভোগী সাইফুলের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। গাজীপুর চৌরাস্তার একটি দোকান থেকে ছিনতাই করার জন্য ছুরি কেনেন। পরিকল্পনামতে মাশুক সাইফুলকে এক সাংবাদিকের তথ্য সংগ্রহ এবং ভিডিওচিত্র ধারণের জন্য নেত্রকোনায় যেতে হবে বলে জানান। ১৩ মার্চ বিকাল ৩টায় মিরপুর-১৪ থেকে মাশুক ৩ হাজার টাকা ভাড়ায় সাইফুলকে নিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা করেন। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে একই বাইকে ওঠেন ফয়সালও। জানা গেছে, ১৪ মার্চ দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দেওরাজান বালুর চরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলা কাটা লাশ দেখে স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানায়। লাশ উদ্ধার ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাইফুলের বাবার নাম আবদুস সামাদ। বাড়ি ঝিনাইদহ। ওই ঘটনায় বড় ভাই বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর