চট্টগ্রামে রোজা শুরু হতে না হতেই যানজটের কবলে পড়েছে নগরবাসী। বিশেষ করে ইফতারের আগমুহূর্তে যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে কর্মস্থলফেরত মানুষ। যানজট নিরসনে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদেরও। পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে নগরজুড়ে। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছেন, কোনো লোডশেডিং নেই, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হচ্ছে। কোথাও লোডশেডিং হয়ে থাকলে তা স্থানীয় কোনো সমস্যা।

সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দক্ষিণ এনএম নাসিরুদ্দীন বলেন, ‘রমজান ঘিরে আমাদের ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেট, টেরিবাজারসহ শপিং মল এলাকাকেন্দ্রিক বাড়তি ডিউটি চলছে। পাশাপাশি যাত্রীর চাপ বাড়লে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও পুলিশ সদস্য বাড়ানো হবে। রোজায় মানুষের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে জনবল রয়েছে তাদের তিনটি টিমে ডিউটি করানো হবে। প্রয়োজন ক্ষেত্রে রাত ১২টা বা ১টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যানজট ও ভোগান্তিমুক্ত রাখতে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবৈধ পার্কিং, ট্রাফিক আইন না মানা, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকান, উল্টো পথে গাড়ি চালানোসহ নানা কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার তুলনায় যানবাহনের আধিক্য ও চালকের অসচেতনতাকেই যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যত্রতত্র ও ব্যস্ত মোড়গুলোয় প্রতিযোগিতা করে যাত্রী ওঠানামা, সড়কের মাঝখানে আড়াআড়ি করে গাড়ি রাখার প্রবণতা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে নগরীতে নির্ধারিত স্থানে যাত্রী ওঠানামার জন্য সিএমপির নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।