শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়কে ব্যবসায়ীদের বসতে দেবে না ট্রাফিক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে ব্যবসায়ীদের বসতে দেবে না ট্রাফিক পুলিশ

রমজান মাসে ইফতারের তিন ঘণ্টা আগে অফিস ছুটি হলেও কমছে না রাজধানীর যানজট। ইফতারের আগে সবারই বাসায় ফিরতে হয়, তাই বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগের জন্য চ্যালেঞ্জও বটে। যানজট কমাতে এ মাসে কোনো ব্যবসায়ী যেন সড়ক দখল করে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড করতে না পারেন সেজন্য তাদের সড়কে বসতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ ট্রাফিক বিভাগকে সহযোগিতা করছে। এতে ট্রাফিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ সময় তিনি জানান, রমজান মাসে বিকাল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হলেও সড়কে গাড়ির হ্রাস দেখা যায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিক থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশনে অযাচিত ট্রাফিক যানজট তৈরি হয়। যেহেতু ইফতারের আগে সবারই ফিরতে হয়, তাই এ সময় লাইন ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি চ্যালেঞ্জও বটে। তিনি জানান পিক আওয়ারে সিগন্যালে জমে থাকা গাড়িগুলো দ্রুততম সময়ে রিলিজ করা ট্রাফিক বিভাগের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। এ সুযোগে অনেক সময় গণপরিবহনগুলো ডিসিপ্লিনের বাইরে চলে যায়। এ জন্য অফিস ছুটির পরপরই বা সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় বাসায় ফেরার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

ট্রাফিক পুলিশ ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়। এতে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। আবার নির্ধারিত বাস স্টপেজে না দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের টার্নিং পয়েন্টে যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। গণপরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে যানজট তৈরি হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে রাজধানীতে ইট-বালুর ট্রাক যেন প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুনিবুর রহমান বলেন, ট্র্রাফিকের আরেকটি কারণ মার্কেট। রমজানের প্রথম থেকেই প্রতিটি মার্কেটে আমরা কথা বলেছি। এ ছাড়া ব্যস্ততম এলাকায় কমিউনিটি ট্রাফিক ডেভেলপ করা হয়েছে। আশা করি সুশৃঙ্খলভাবে নগরবাসীকে নির্বিঘ্নে যাতায়াত উপহার দিতে পারব। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক বাতির বিষয়ে মুনিবুর রহমান বলেন, ঢাকায় ১১০টি ইন্টারসেকশনে বাতি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু গুলশানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় বাতি সচল রয়েছে। অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে সব সিগন্যালেই এ সড়ক বাতির অটোমেশন সিস্টেমের কাজ চলমান। শিগগির সব চালু হবে।

সর্বশেষ খবর