শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরিবহনে চাঁদাবাজির প্রভাব দ্রব্যমূল্যে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবহনে চাঁদাবাজির প্রভাব দ্রব্যমূল্যে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চাঁদাবাজি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রীকেও এ নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। কারণ পরিবহনে চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যে। গতকাল বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে সড়কপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রা পুরোপুরি যানজটমুক্ত হবে এমনটি দাবি করা সমীচীন নয়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ এবং গাজীপুর ঠিক থাকলে ঈদযাত্রার সব ঠিক থাকবে। হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ঢাকায় নির্বিঘ্নে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।

ফেনী থেকে হানিফ ফ্লাইওভারে আসতে যত সময় লাগে, তার চেয়ে বেশি সময় লাগে ফ্লাইওভার থেকে ঢাকায় ঢুকতে। এখন মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে, দুই ঘণ্টা লাগে।

মন্ত্রী ঈদযাত্রায় যাত্রাবাড়ীর যানজট, উত্তরবঙ্গের মহাসড়কের কাজ, গাজীপুরে বিভিন্ন মহাসড়ক, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের যানজট, এলেঙ্গার যানজট নিরসনের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান, মোটরসাইকেল ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কে সবচেয়ে বড় উপদ্রব তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেল। ২২ জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ করতে হবে হাইওয়ে পুলিশকে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করা দরকার। জাতীয় সড়কে আমরা মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের যা জনবল আছে, তা যথেষ্ট নয়। হাইওয়ে পুলিশের অবস্থা অনেকটা ‘ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদার’-এর মতো।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রকল্প আমরা গ্রহণ করিনি। তবে সম্প্রতি ‘রোড সেফটি’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে বারবার বলেছি।

বাসের বেহাল অবস্থা নিয়ে পরিবহন নেতাদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোয় রং লাগানো হয়, যা ১০ দিনও থাকে না। বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে। আপনাদের কি লজ্জা করে না? দেশ এত এগিয়ে গেল, আর গাড়ির গরিব গরিব চেহারা!

মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ঈদযাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা ঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি না তা আর পরে মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা যে সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা বাস্তবে কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা উচিত।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি, সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু সচিব মনজুর হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর