শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের প্রজ্ঞাপন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে আমরা একটি জিও করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে চাই যে, আইনগত কোনো জটিলতা আছে কি না। আইনমন্ত্রী আমাদের ফাইলটি ফেরত পাঠিয়েছেন। কোনো আইনগত জটিলতা নেই। সবকিছুই প্রসেস চলছে। তাহলে সাজা ছয় মাসই মওকুফ থাকছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে রকমভাবে আমরা দিয়ে এসেছি আগে, সে রকমভাবেই চলবে।

খালেদা জিয়ার মামলা ছিল, মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত এবং তার নামে আরও কিছু মামলা আছে। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে তাকে বাসায় থেকে সুচিকিৎসা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সাজাটা স্থগিত রেখে। এটাই হলো বর্তমান অবস্থা। আমাদের দেশে যারা আদালত থেকে অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তারা যে নিয়মে চলে সে অনুযায়ী চলছে, এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এর আগে মাদক নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। সব মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই সামাজিক আন্দোলনটা গড়ে তুলতে। এটি না পারলে এই জায়গাটিতে আমরা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি।

আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যখন ধূমপানবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম মাত্র এক দিনে ধূমপান বন্ধ করতে পারিনি। আমরা আইন করেছি ধূমপানের জন্য, আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাও করেছি কিছুদিন। আমরা করতে (বন্ধ) পারিনি। কিন্তু আমরা যখন সামাজিক আন্দোলন করেছি, মিডিয়ায়, স্কুল-কলেজে, হাটবাজারে, মসজিদ-মাদরাসায়- আমরা যখন বলতে সক্ষম হয়েছি, ধূমপান আসলে বিষপান, যে-ই ধূমপানে যাচ্ছেন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন- আমরা এটা বুঝাতে পেরেছি। প্রকাশ্যে ধূমপান কিন্তু কমে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই এই সামাজিক আন্দোলনটা গড়ে তুলতে। আর মাদকের যে সমস্ত হাব, যেমন ইয়াবা, এলএসডি, হেরোইন- এগুলো যে কতখানি ক্ষতিকর। বহন করতে কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। আঙুলের ফাঁকেই নিয়ে আসা যায়। কাজেই এগুলোকে ধরা, চেক করা এবং আইডেন্টিফাই করা একটা মুশকিলের বিষয় হয়ে গেছে। তবে আমরা বসে নেই। আমাদের যা কিছু আছে সবই অ্যাপ্লাই করছি, যাতে করে সাপ্লাই রাস্তা কমে যায়। আমরা যদি চাহিদা কমাতে না পারি তাহলে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব না। সেজন্য আহ্বান থাকবে মিডিয়ার মাধ্যমে এটার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরুন।

সর্বশেষ খবর