শিরোনাম
শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু মুরগির মাংস, বেড়েছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু মুরগির মাংস, বেড়েছে চালের দাম

রমজানের শুরু থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ও মুরগি। সবজির দামও আগের মতো এখনো বাড়তি রয়েছে। এদিকে রোজার আগে হুট করেই বেড়েছিল চালের দাম। মাঝে কিছুটা কমলেও ফের বেড়েছে গুটি, নাজিরসহ সব ধরনের চালের দাম। কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি কক মুরগির দাম ৩৪০ টাকা। জীবন্ত অবস্থায় ওজন করে খাসি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতাদের মতে, রমজানের শুরুর দিকে এক লাফে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। যা এখনো বলবৎ আছে। এদিকে ব্রয়লারের বাজারে ওঠানামা না থাকলেও পুরোপুরি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে গরুর মাংসের বাজারে। রাজধানীর গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী মো. খলিল। ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। পেয়েছেন পুরস্কারও। হুট করে কেজিতে ১০০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

আবার সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। রাজধানীর ৩০টি স্থানে প্রতিদিন এই মাংস বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে গরুর মাংসের সর্বোচ্চ দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ৬৬৪ টাকার বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর প্রতিপালন একেবারেই নেই। রাজধানীর বেশির ভাগ বাজারেই গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে ফের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। রোজার আগে হুট করেই বেড়েছিল চালের দাম। মাঝে কিছুটা কমলেও ফের বেড়েছে গুটি থেকে নাজিরসহ সব ধরনের চালের দাম।

এখন কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা হারে বেড়েছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা বিক্রিতে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের চাল বিক্রেতা হানিফ রহমান জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন সব চালেরই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে পাইজাম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে ছিল। পাইজামের চাইতে মোটা চাল গুটি। সেখানেও কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। নাজিরশাইল চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা।

সবজির বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কচুরলতি ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর