শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় নাটক ‘অচলায়তন’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় নাটক ‘অচলায়তন’

শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো নাটকের দল প্রাচ্যনাট প্রযোজিত নাটক ‘অচলায়তন’। গতকাল ছুটির দিনের সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এই নাটকটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন আজাদ আবুল কালাম। নাটকের কাহিনিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অযৌক্তিক অভ্যাস ও বিশ্বাসবশত চলে আসা আচারসর্বস্বকে আঘাত করেছেন এবং জগতের সব কিছুকে জ্ঞান কর্ম ভক্তির সঙ্গে গ্রহণের কথা বলেছেন। নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বলেন, অচলায়তন বিদ্যাপীঠকে আমরা কল্পনা করেছি একটি বালিকা বা নারী শিক্ষাগৃহ হিসেবে। আমাদের পশ্চাৎপদ এবং ধর্মীয়-সামাজিক চিন্তায় অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নারী। নারীকে কুসংস্কার আর নানাবিধি নিষেধের মধ্যে আটকে রাখার নানা ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।

কখনো কখনো সেই ষড়যন্ত্রে নারী নিজেই যেন প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এটাই নাটকের উপজীব্য। নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, বহুদিন ধরে চলে আসা প্রথাকে কঠোর নিয়মের আবদ্ধে পালন করতে গিয়ে সময়ের আবর্তনে অচলায়তন বিদ্যায়তনের কোনো পরিবর্তন হয় না। এখানকার বিদ্যার্থীরাও কোনো প্রশ্ন ছাড়াই তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম ও অনুশাসন মেনে চলে। অচলায়তনের বাইরের জগতের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই, এমনকি যোগাযোগ করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ পাওয়াটাও তাদের জন্য ‘মহাপাপ’-এর নামান্তর। সেই বিদ্যায়তনের দুই শিক্ষার্থী পঞ্চক ও মহাপঞ্চক। তাদের জীবন দর্শন বিপরীত। এই দুই ব্যক্তির মধ্যকার যে ইচ্ছার দ্বন্দ্ব তা আরও দৃঢ়ভাবে প্রকাশিত হয় যখন অচলায়তনে একটি ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এরই মধ্যে উপস্থিত হন গুরু বা দাদাঠাকুর যিনি প্রথমবারের মতো অচলায়তনের বন্ধ দ্বার ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেন। বাইরের বাস্তব জগৎ ও সেই জগতের মানুষের সঙ্গে অচলায়তনের বিদ্যার্থীদের পরিচয় ঘটে। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, সানজিদা প্রীতি, শাহানা রহমান সুমি, শাহেদ আলী, ফরহাদ হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম ও চেতনা রহমান ভাষা প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর