রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতির সমর্থনে আর্টক্যাম্প

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতির সমর্থনে আর্টক্যাম্প

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদিন রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং জগন্নাথ হলে সংঘটিত হয় বর্বর গণহত্যা। এ ছাড়া তাদের দোসরদের সহায়তায় ১৯৭১ সালে দেশব্যাপী সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য গণহত্যা। এসব গণহত্যার সাক্ষী হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ৪ হাজারের বেশি বধ্যভূমি। ইতিহাসের ঘৃণিত এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ নানা ফোরামে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে এখনো আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সমর্থনে জাতীয় গণহত্যা দিবসে নানান বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্ট ক্যাম্প, সেমিনার, সংলাপ, পরিবেশ থিয়েটার প্রযোজনার গণহত্যার পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭১ এ রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং জগন্নাথ হলে সংঘটিত বর্বর গণহত্যার ঐতিহাসিক পাঁচটি স্থানে অনুষ্ঠিত হয় আর্টক্যাম্প।

এসব আর্টক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ওপর ছবি আঁকেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, বীরেন সোম, মলয় বালা, নিসার হোসেন, রোকেয়া সুলতানা, সামিনা নাফিজ, আবদুল মান্নান, ফরিদা জামান, কামাল পাশা চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুসসহ ৫০ জন চারুশিল্পী। ছবিগুলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংরক্ষণ সাপেক্ষে প্রদর্শনীর আয়োজন করবে।

অনুষ্ঠানে গণহত্যার স্মৃতিচারণ করে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘২৫ মার্চ ভয়াল রাতে নিরীহ বাঙালির ওপর পাক বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ ও গণহত্যার ভয়াবহতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা উপলব্ধি করতে পারে’। একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আর্টক্যাম্প সমন্বয়ক ছিলেন চারুকলা বিভাগের সৈয়দা মাহবুবা করিম, রেজাউল হাশেম, মোস্তাক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুজন এবং তৈমুর হান্নান।

সর্বশেষ খবর