সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

খুলে দেওয়া হলো বিআরটির সাত ফ্লাইওভার

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলে দেওয়া হলো বিআরটির সাত ফ্লাইওভার

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-গাজীপুর রুটে নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফ্লাইওভারগুলো উদ্বোধন করেন।

ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে রয়েছে- এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দীন ফ্লাইওভার, ইউটার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম রব্বানী শেখসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদ সামনে রেখে বিআরটি গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রোডের সাতটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এই সাতটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে ঈদযাত্রা সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে।

বিআরপি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে, যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে। আশা করছি এ বছরই এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব। আমাদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজও শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। আশা করছি, ডিসেম্বর নাগাদ বাকি কাজ শেষ হবে। বিআরটি করিডোর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে।

২০১২ সাল রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর ২০.৫ কিলোমিটার সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য বিআরটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়। আর সময় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বেড়েছে। সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

 কিন্তু প্রকল্প চালু হওয়ার পর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ। এখন আশা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে পুরো প্রকল্প যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা যাবে।

সর্বশেষ খবর