সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা

সালাম মুর্শেদীকে আপাতত বাড়ি হস্তান্তর করতে হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ফুটবলার ও সংসদ সদস্য আবদুুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা রাজধানীর গুলশানের সেই বাড়ির অবস্থানের ওপর আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ওই বাড়ি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন মাসের মধ্যে হস্তান্তরে দেওয়া হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবদুুস সালাম মুর্শেদীর আবেদনে গতকাল এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। ফলে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়ি হস্তান্তর করা লাগবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা।  গত ১৯ মার্চ দুপুরে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক। 

হাই কোর্টের রায়ের পর অনীক আর হক বলেন, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের যে বাড়ি, সেটি আসলে পরিত্যক্ত সম্পত্তি। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। সরকারের লিস্টে (তালিকা) রয়েছে। তাই এটি (সালাম মুর্শেদীর কাছে) হস্তান্তর সম্পূর্ণ অবৈধ। আবদুস সালাম মুর্শেদীকে রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তা বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আবদুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর