মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রুয়েটে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হচ্ছে সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অবৈধভাবে ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ অনুসন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর গত সপ্তাহে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়। দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদার স্বাক্ষর করা চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান শেষে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখ ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। দ্রুতই তিনি বাদী হয়ে মামলাটি করবেন। তিনি আরও বলেন, ১৩৫ জনের নিয়োগে কমবেশি অনিয়ম হয়েছে। তবে তার মধ্যে ১৭ জনের নিয়োগ নিয়ে দুদক মামলা করবে।

এদিকে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই চার বছরের জন্য রুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ। এরপর বিভিন্ন সময়ে তিনি ১৩৫ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। ২০২১ সালের ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধ করা হয়। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধিবিধান লঙ্ঘন করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

এর মধ্যে নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে সাবেক উপাচার্য নিজের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়োগ দেন। যারা নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যই ছিলেন না। এসব নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অভিযোগ হয়। অভিযোগটি তদন্তে ইউজিসি একটি কমিটি করে। তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মেলে। এরপর ইউজিসি থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে রুয়েটে বিতর্কিতভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যদিও এসব নিয়োগ অদ্যাবধি বাতিল করা হয়নি।

রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধান ও মামলার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এ ছাড়া নিয়োগে কোনো অনিয়মও হয়নি। মামলা হলে আইনিভাবেই তা মোকাবিলা করবেন।

 

সর্বশেষ খবর