মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে নির্মাণ করা হয়েছে এ অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ। আজ ২৬ মার্চ এই স্মৃতিসৌধে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন চট্টগ্রামবাসী। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে কম সময়ের মধ্যে এই অস্থায়ী স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নগরের ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্স থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শাটল বাস চলাচল করবে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চারটি বাস রিজার্ভ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধারা এসব বাসে স্মৃতিসৌধে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। সারা দিন সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে অস্থায়ী এই স্মৃতিসৌধ।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আওতায় থাকা ৩০ একর জমি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬২ শতাংশ জমির ওপর অস্থায়ী স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে রয়েছে সাতটি স্তম্ভ। সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভে দেওয়া হয়েছে লোহার বেয়নেট। বেদিতে উঠতে সাত ইঞ্চি করে তৈরি করা হয়েছে সাতটি সিঁড়ি। স্মৃতিসৌধের সাতটি স্তম্ভ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে। বেদি থেকে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ৩০ ফুট। শুধু বেদিরই উচ্চতা চার ফুট। বেদির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৪০ ফুট করে। ১৭ দিনে ১২ জন করে তিন শিফটে ৩৬ জন শ্রমিক কাজ করে এ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর