শিরোনাম
বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সংকটেও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ

রাশেদ হোসাইন

ডলার সংকট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ১৬ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি রপ্তানি হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক দামে সরবরাহের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজারে প্লাস্টিক রপ্তানি বাড়ায় এ আয় বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগের যেকোনো বছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের আট মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এ সময়ে রপ্তানি হয় ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। গত আট মাসে পিভিসি ব্যাগ রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। মূলত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত ও নেপালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করা হয়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪২টির বেশি পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশ প্রধানত ফিল্ম প্লাস্টিক, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানি করে। বিপিজিএমইএ’র হিসাবে প্লাস্টিক পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পুরো ইউরোপ এবং এশিয়ার চীন, ভারত, নেপালসহ অন্যান্য বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। নতুন করে প্লাস্টিক খেলনা আইটেম বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু হচ্ছে। রিসাইক্লিং কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি ৩৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এটি ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা।

বিপিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর প্লাস্টিকের নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বর্তমানে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজসহ রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ষষ্ঠ। ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট প্লাস্টিক রপ্তানি ছিল ৬ কোটি ৮৭ লাখ ইউএস ডলারের। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২-২৩-এ রপ্তানি হয়েছে ২০ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৬ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, বর্তমানে নতুন নতুন বাজারে প্লাষ্টিক রপ্তানি হচ্ছে। ডলারের দাম এখন কিছুটা স্থির হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে কাঁচামালের দাম স্থিতিশীল থাকায় রপ্তানি আয়ের গ্রোথ বেড়েছ। আর প্লাস্টিক বর্জ্য কমার কারণ হলো চীনে রপ্তানি কিছুটা কমেছে। আমাদের লোকাল শিল্পের পরিধি বেড়েছে। ডলার সংকট ও কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে অসুবিধাসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও এ খাত রপ্তানি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। বর্তমানে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিশ্বমানের প্লাস্টিক তৈরি করছে। এটি বিদেশিদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী করছে।

সর্বশেষ খবর