শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিলেট

সচল হলো অচল সিসি ক্যামেরা

♦ অপরাধ দমন ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখবে ভূমিকা ♦ চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সচল হলো অচল সিসি ক্যামেরা

দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ  (এসএমপি)। কোতোয়ালি থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং। সিলেটের সঙ্গে জুড়ে আছে দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটির তকমা। ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয় ১১০টি সিসি ক্যামেরা। এর মধ্যে ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ২০১৯ সালে ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও সিটি করপোরেশন তাতে সায় দেয়নি। ফলে ডিজিটাল নগরীর ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর এসএমপির পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। সিসিকও নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার সিসি ক্যামেরা পুনঃসংস্কার প্রকল্পের ফের উদ্বোধন করা হচ্ছে।

এসএমপি কমিশনার জানান, ক্যামেরাগুলো সচল হলে এখন থেকে নগরীতে অপরাধ কমে আসবে। ক্যামেরার আওতাভুক্ত এলাকায় কোনো অঘটন ঘটলে ফুটেজ দেখে জড়িতদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। অপরাধ কর্মকান্ডের পর অপরাধীর অবস্থানও শনাক্ত সম্ভব হবে। এ ছাড়া নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবগত করা হবে।

পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান আরও জানান, ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে কয়েকটি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা রয়েছে। এগুলোতে চিহ্নিত অপরাধীদের ছবি কিংবা যানবাহনের নম্বর ইনপুট করে রাখলে ক্যামেরাগুলো ওই ব্যক্তি ও যানবাহনকে সহজে শনাক্ত করতে পারবে এবং সতর্কতামূলক সংকেত দেবে। এতে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে এসএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর