সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

এক আঙিনায় সব পণ্যের সমাহার

শতবর্ষী রেয়াজুদ্দিন বাজার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

এক আঙিনায় সব পণ্যের সমাহার

চট্টগ্রাম নগরের রেয়াজুদ্দিন বাজার। বিশাল আয়তন ও বিস্তৃত পরিসরের ঐতিহ্যবাহী বিকিকিনি কেন্দ্র। বয়স এখন প্রায় ১৩০। এখানে পাওয়া যায় না এমন কিছুই নেই। জীবনধারণের সব পণ্যের সমাহার এই বাজারে। বলা যায় এক আঙিনায় ঈদের সব অনুষঙ্গই মেলে রেয়াজুদ্দিন বাজারে। সব কিছুই পাওয়া যায় শতবর্ষী এ বাজারে।   

এখানে পাওয়া যায় ব্র্যান্ডের দামি জামা থেকে জুতা, প্যান্ট, লুঙ্গি, সুই থেকে সুতা, দা-বঁটি, কসমেটিকস। কেবল দেশ নয়, বিদেশেও যায় এই বাজারের পণ্য। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষেরই ভরসা ঐতিহ্যবাহী এই বাণিজ্য কেন্দ্র। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা যায়, বিশাল আয়তনের এই বাজারে আছে প্রায় ১০ হাজার দোকান। এখানে কর্মরত আছেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মচারী। বাজারের  প্রায় ৫ হাজার দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বিকিকিনি হয় ৫০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। এই বাজারে একাধারে ১০টি মুখ দিয়ে প্রবেশ করা যায়। এবার ঈদে ক্রেতা সাধারণের বাজারের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। নিরাপত্তার জন্য দুই শিফটে আছে সিএমপির পুলিশ, আছে নিজস্ব উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশ, আছে প্রধান দুই প্রবেশ মুখ জুবিলী রোড ও স্টেশন রোডে ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থা। সঙ্গে সার্বক্ষণিক আলো দিচ্ছে জেনারেটর, সুবিস্তৃত পার্কিং ব্যবস্থা।

রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, শতবর্ষী রেয়াজুদ্দিন বাজার এখনো চট্টগ্রামের মানুষের কাছে কেনাকাটার জন্য আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। তাই সন্ধ্যার পরই মানুষের ঢল নামে। ঈদের বাজারের জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে আসেন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় সবদিকের মানুষ এখানে ঈদের বাজার করতে আসে। রেয়াজুদ্দিন বাজারের কাদেরিয়া বেনারসি শাড়ির স্বত্বাধিকারী মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবার বাজারে সম্মিলিতভাবে একদামে পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। বিক্রেতারা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য দিচ্ছেন না। ক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে ভালো পণ্যটি কিনতে পারছেন।  জানা যায়, এ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ঈদের সব ধরনের পণ্য। আছে রেডিমেড ও সেলাই করা কাপড়। বর্ণিল পোশাকের মধ্যে আছে- শাড়ি, থ্রিপিস, ছোটদের পোশাক, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, প্রসাধনীসামগ্রী, নানারকম আসবাবপত্র, সুই-সুতা, ঝাড়ু, জুয়েলারি পণ্য। তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, আবাল বৃদ্ধ বণিতা- সব বয়সের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। কোনো ক্রেতাকে এ বাজার থেকে কোনো পণ্যের জন্য খালি হাতে ফিরতে হয় না। এটিই এ বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এবার ঈদের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় ও দেশি পাথরের কাজ করা শাড়ি। বাহারি কাতান শাড়ির সঙ্গে রূপ ছড়াচ্ছে লেহেঙ্গা, রাজশাহী সিল্ক, জামদানি শাড়ি। দোকানের সামনে শোভা পাচ্ছে নায়িকাদের নামে বর্ণিল ডিজাইনের জামা।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর