সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আসামিকে নিয়ে পুলিশের ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাগমারায় হত্যা মামলার আসামিকে পাশে বসিয়ে ইফতার করলেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শনিবার সোহাগ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি ও ঝিকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে পাশে বসিয়ে ইফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক নয়ন হোসেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও মামলার বাদী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সোহাগ হোসেনকে (২৬) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের মরুগ্রামে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে তিনি খুন হন। সোহাগ যশোরের মনিরামপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে। একমাত্র ছেলে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাগমারায় আসেন এবং হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেন। এক ঘটনায় দুটি মামলা হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে আদালত থানায় হওয়া মামলার সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও কেন তাদের না ধরে সঙ্গে নিয়ে ইফতার করা হচ্ছে।’  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নয়ন হোসেন বলেন, সোহাগ হত্যার ঘটনায় থানায় এবং আদালতে আলাদা আলাদা মামলা হয়েছে। একই ঘটনায় যেহেতু থানায় মামলা আছে, সেক্ষেত্রে পরের মামলা স্থগিত রেখে আগেরটার সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। আমি বর্তমানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে বদলি হয়েছি। তাই মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা যিনি হবেন, তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। চেয়ারম্যান মামলার আসামি হয়েও ইফতার আয়োজনে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

 

সর্বশেষ খবর