মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
দুদকের মামলা

কালাম-সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের মো. সাহেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ফের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলি করেন। চার্জশিটে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

এ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ছিল। মামলার আদেশে চার্জশিট গৃহীত না লেখা থাকায় আসামি পক্ষ চার্জশিট গৃহীতের জন্য আবেদন করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম মামলাটি মহানগর আদালতে বদলির আদেশ দেন। আজ (সোমবার) মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কভিড হাসপাতালে পরিবর্তন, সমঝোতা স্মারক সই ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কভিড রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর