আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ দখলদারিতে বিশ্বাসী নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দখলদারি শুরু হয় সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিল।

সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করা ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা নির্যাতনের মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এখন তো তাদের নেতা-কর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছেন। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে একে তারা অভিযোগ করার চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেনি; বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তাবিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর ছিল।