বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যাংক কমিশন চায় এফবিসিসিআই

অর্থনীতিতে ১১ চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। প্রস্তাবে অর্থ পাচার/মানি লন্ডারিং রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, বৈদেশিক মুদ্রা/ডলারের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা, সুদের হার ও ব্যাংক খাতের সংকটসহ অর্থনীতির ১১টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিবেচনার জন্য এই প্রস্তাবটি সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রস্তাবে এফবিসিসিআই ব্যাংক কমিশন গঠন করে ব্যাংক খাত সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক পর্ষদে পেশাদারিত্বে প্রাধান্য দেওয়া, পরিচালকদের মেয়াদ সংস্কারে অনতিবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরবরাহ পর্যায়ে ২ শতাংশ ভ্যাট কর্তন করা হয় বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় বলে উল্লেখ করা হয়।

তাই কৃষিজাত ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবনায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক স্টেকহোল্ডার বা মার্কেট প্লেয়ারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিদেশি ঋণ, সাপ্লারস ক্রেডিট কিংবা রেন্টাল সিস্টেমে গৃহীত ব্যবস্থাদি বিশেষজ্ঞ পর্র্যায়ে পরীক্ষা করে পে-ব্যাক ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব কি না দেখা দরকার। বৈদেশিক অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে দক্ষ জনসম্পদ প্রেরণ করতে পারলে টেকসই রেমিট্যান্স মিলবে। এতে আরও বলা হয়, গার্মেন্টস রপ্তানি আয়ের চাইতে দক্ষ জনবল প্রেরিত রেমিট্যান্স অধিকতর মূল্য সংযোজক। এ ছাড়া শুল্ক-কর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ জোরদার। বাজেট প্রণয়ন পদ্ধতিতে সংস্কার যেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়া এফবিসিসিআই অর্থনীতির ১১টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, রেমিট্যান্স প্রবাহে শ্লথ গতি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও সম্পসারণ/বহুমুখীকরণ/নতুন বাজার সংযোজন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা/ডলারের পর্যাপ্ত নিশ্চিতকরণ, সুদের হার ও আর্থিক তথা ব্যাংক খাতের সংকট, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলেশন কার্যক্রম, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বৃদ্ধিকরণ, রাজস্ব নীতি সংস্কার এবং মুদ্রা ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয়, সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।

সর্বশেষ খবর