বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

২০ হাজার ফোনের আইএমইআই পরিবর্তনকারী ২০ জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকৃত ২০ হাজার মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনকারী চোর চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। গত সোমবার রাতে ঢাকার গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আইএমইআই পরিবর্তন করার ডিভাইসসহ প্রায় ১ হাজার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকালে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাইয়ের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে ফোনের অবস্থান জানতে না পারে সেজন্য মাত্র ৩ থেকে ৭ সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টে ফেলা হতো ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বর। পরে এসব মোবাইল ফোন ৫শ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিভিন্ন মার্কেটে ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্রি করা হতো। গ্রেফতারকৃত চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এসব চোর ও ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং মোবাইল ফোনগুলো কম টাকায় সংগ্রহ করত।

র‌্যাব বলছে, দ্রুত আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলায় চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে এভাবে মোবাইলের আইএমইআই পাল্টে বিক্রি করে আসা পৃথক চারটি চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটি এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারের বেশি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হাফিজুর রহমান, রনি আহমেদ ইমন, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আবুল মাতুব্বর, আহম্মদ আলী, কামাল, বাপ্পি, আবিদ হোসেন সনু, রবিন ভুইয়া, আরিফুল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, সুজন, দেলোয়ার, আবদুর রহমান, রাজু, জিহাদ হোসেন, মুনাইম, রাজু ও রফিক। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৪২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৩৪১টি বাটন মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ ভুয়া আইএমইআই স্টিকার, একটি হিটগান, ইলেকট্রনিক সেন্সর ডিভাইস, আইএমইআই পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছয়টি চাকু, একটি ল্যাপটপ, একটি এলসিডি মনিটর ও নগদ ১১ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার দেলোয়ারের সহযোগী রাজু এবং জিহাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আরিফুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। এ ছাড়া মোনায়েম, রফিক ও আরিফুল আগেও র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও এই চক্রে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ খবর