বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঈদের আগে মুক্ত হলেও দেশে ফেরা অনিশ্চিত

এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী প্রতিনিধি

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক ও জাহাজ ঈদের আগে মুক্তি পেলেও ওই সময়ের মধ্যে দেশে ফেরা হবে দুষ্কর। দস্যুদের কবল থেকে জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর কাতার কিংবা সংযুক্ত আবর আমিরাতের  কোনো বন্দরে নোঙর করবে। ওখানে নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই নাবিক ও জাহাজ জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হবে। তবে মুক্ত হলেও ঈদের আগে দেশে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।’

এদিকে জাহাজে জিম্মি ২৩ নাবিকের স্বজনদের দিন কাটছে শঙ্কা ও আতঙ্কে। ঈদের আনন্দ হারিয়ে গেছে পরিবারগুলো থেকে। জানা গেছে, ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তি নিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে ঈদের আগেই জিম্মি দশার অবসান হবে। মুক্তির পর জাহাজকে পার্শ্ববর্তী তৃতীয় কোনো দেশে নোঙর করা হবে। এ ক্ষেত্রে কাতার কিংবা সংযুক্ত আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। হামরিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়।

ওই বন্দরে কয়লা খালাসের পাশাপাশি নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর নাবিকদের আকাশপথে নিয়ে আসা হবে দেশে। সে ক্ষেত্রে ঈদের আগে নাবিকদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই অনিশ্চিত।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশনের।

সর্বশেষ খবর