শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
টাঙ্গাইল-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক

চার লেন নির্মাণে বসুন্ধরা বিটুমিন

বগুড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

চার লেন নির্মাণে বসুন্ধরা বিটুমিন

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় সাসেক-২ প্রকল্পের চার লেন মহাসড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহার হচ্ছে বসুন্ধরা বিটুমিন - বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাসেক-২ প্রকল্পের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহার হচ্ছে বসুন্ধরার পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর থেকে শহরের বনানী পর্যন্ত অংশে সাড়ে ৫ কিলোমিটার কার্পেটিং কাজে এ বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টায় মির্জাপুরে কার্পেটিং কাজ শুরু হয়।

জানা গেছে, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-২-এর আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০.৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর থেকে শহরের বনানী পর্যন্ত ৮ নম্বর প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ২২ কিলোমিটার কাজ করছে সিপিসি-তান্তিয়া জেভি কোম্পানি নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

গতকাল শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরে বসুন্ধরার বিটুমিন ব্যবহার করে মহাসড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়। প্রথম পর্যায়ে মির্জাপুর থেকে বগুড়ার বনানী পর্যন্ত অংশে রাস্তা কার্পেটিং কাজে বসুন্ধরার পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন ব্যবহার করা হবে বলে জানান প্রকল্পের কর্মকর্তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর সময় সাসেক-২-এর (মির্জাপুর থেকে বনানী) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন কায়ছার চপল, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিপিসির সাসেক-২-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সামছুজ্জোহা আল শহিদুল হকসহ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিপিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা আল শহিদুল হক জানান, বর্তমান তাপমাত্রায় সাধারণ বিটুমিনের চেয়েও বেশি কার্যকর ও টেকসই রাস্তা নির্মাণে বসুন্ধরা বিটুমিন সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তাই রাস্তার দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য আমরা বসুন্ধরা বিটুমিন ব্যবহার শুরু করলাম। আমাদের প্রকল্পের অন্যান্য কাজেও আমরা এ বিটুমিন ব্যবহার করব।

সাসেক-২-এর (মির্জাপুর থেকে বনানী) প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন কায়ছার চপল জানান, রাস্তার নির্মাণকাজে টেকসই ম্যাটেরিয়াল হিসেবে বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন যেহেতু তাপমাত্রা বাড়ছে সে কারণে সাধারণ বিটুমিন গলে যেতে পারে কিন্তু বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন এ তাপমাত্রায় অনেক টেকসই ও স্থায়ী। বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক ভালো। সামনে নির্মাণকাজের যে মার্কেট, তা সফলতার সঙ্গে দখল করবে বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন। আমি আশা করি, দেশের জাতীয় সড়ক নির্মাণ কাজে ভবিষ্যতে বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন ব্যবহার হবে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ও সড়ক বিভাগের ঠিকাদার প্রকৌশলী মাফুজুল ইসলাম রাজ জানান, ফোর লেন নির্মাণকাজে বসুন্ধরা পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন ব্যবহার করায় এ অঞ্চলে রাস্তার কাজ আরও উন্নত ও শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। সাসেক-২-এর উপপ্রকল্প পরিচালক জয় প্রকাশ চৌধুরী জানান, এ প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন। বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে ২০টি আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় এ পথে চলাচলকারী মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে। ফোর লেন প্রকল্পে বগুড়া অংশে কাজের অগ্রগতি আগের চেয়ে বেড়েছে। গোটা প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৩ ভাগ। সড়ক উন্নয়নসহ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার উভয় পাশে স্লো মুভিং ভেহিকেল ট্রাফিক লেন, ছয়টি ফ্লাইওভার নির্মাণ, ৩৫টি সেতু, রেলওভার পাস দুটি, ৩৯টি আন্ডারপাস, ১৮০টি কালভার্ট এবং পথচারী পারাপারের জন্য ১১টি পথচারী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ৭০ কিমি কংক্রিট পেভমেন্ট আরসিসি এবং ১২০ কিমি বিটুমিন কার্পেটিং রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া অংশে ৬৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। চার লেনের পাশাপাশি মহাসড়কের দুই পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য দুটি সংরক্ষিত লেনও থাকবে। প্রকল্পের বগুড়া অংশে রাস্তার উন্নয়নসহ দুটি সেতু, ১১টি আন্ডারপাস, একটি রেলওয়ে ওভারপাস, কালভার্ট এবং বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ওঠানামার জন্য বাস-বে নির্মাণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর