শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপচে পড়া ভিড় ঈদ মার্কেটে

খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

উপচে পড়া ভিড় ঈদ মার্কেটে

ঈদের বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার ভিড় বেড়েছে খুলনার মার্কেটগুলোতে। মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষই এখন কেনাকাটার জন্য বেশি আসছেন মার্কেটে। উচ্চবিত্তরা যারা আগে থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি কিনেছেন তারা এখন পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা স্যান্ডেল, কসমেটিকস কিনতে ভিড় করছেন। প্রচ- দাবদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতারা ক্লান্তিহীন ছুটছেন এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে।

গতকাল খুলনার নিউমার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স, রেলওয়ে মার্কেট, ডাকবাংলা, জলিল টাওয়ার, খালিশপুরে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে উপচে পড়া ভিড়। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। এসব মার্কেটে নারী, শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্যের কালেকশন  দেখাচ্ছেন। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সেসব পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদে খুলনায় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর থ্রি-পিস, সাদাবাহার, মারিয়াবী ও ভারতের দিল্লি বুটিকস, আলিয়া কাট, নায়রা কুর্তি।

সরেজমিন দেখা যায়, রেলওয়ে মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেটে স্বল্পমূল্যের থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট ও জুতার দোকানেই ভিড় বেশি। ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, ক্লে রোড, কেডি ঘোষ রোড, শপিং কমপ্লেক্স ঘিরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সন্ধ্যার পর ক্রেতার ভিড়ে পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়ে।

খুলনার নিউমার্কেট, সেভ অ্যান্ড সেফ থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতান মিলিয়ে ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে যানজট এড়াতে পুলিশ ঝিনুক সিনেমা হলের সামনে থেকে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার পর্যন্ত যানবাহন চলাচল সীমিত করেছে। কয়েকটি স্থানে প্লাস্টিকের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে মার্কেটে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা সেরে ফেলেছি। এখন নিজের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। মার্কেটে প্রচ- ভিড়। বিক্রির চাপে বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। নিউমার্কেটের খুলনা এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ জানান, পাকিস্তানি বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া ভারতীয় থ্রি-পিসও বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি থ্রি-পিস সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভারতীয় ব্র্যান্ড ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ভারতীয় বুটিকসের পোশাক ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিএল কলেজের ছাত্রী ফারহানা ইয়াসমীন বলেন, কয়েকটি ড্রেস দেখে পরে আঘানূর থ্রি-পিস কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর থ্রি-পিসের দাম বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর