শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

নতুন সাজে পর্যটন কেন্দ্র

চট্টগ্রাম

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

ঈদকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এরই মধ্যে ঈদ আনন্দে মেতে উঠার জন্য প্রস্তুত ফয়’স লেক, চিড়িয়াখানাসহ নগরের বেশিরভাগ বিনোদন কেন্দ্র। প্রস্তুতি চলছে ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থী বরণে। ঈদের খুশিকে আরও রাঙিয়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। লম্বা ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিড় জমে পর্যটন স্পটে। এ সময়ে যেন অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশও নিয়েছে নানা উদ্যোগ।

ফয়’স লেকের উপ-ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ফয়’স লেকের ওয়াটার পার্ক বেশ জনপ্রিয়। লেকের সঙ্গে লাগোয়া রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাহাড়মুখী ও হ্রদমুখী রিসোর্ট। রিসোর্টের কক্ষে বসে উপভোগ করা যাবে সবুজ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। নিরিবিলি পরিবেশে লেকের পাশেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে বাংলো। এখানে থাকলে মনে হবে মানবহীন নির্জন কোনো দ্বীপ। বাংলোর ঝুলন্ত বারান্দা থেকে প্রকৃতির স্পর্শ পাওয়া যাবে সহজেই। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সব বয়সের মানুষের বিনোদনের জায়গা এটি। ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম জোনের পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকবে। যার কারণে ঈদের দিন থেকে আমাদের ফোর্স চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি পোশাকধারী পুলিশও থাকবে। এ ছাড়া  সি-বিচ এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। জানা যায়, শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক কমপ্লেক্স ইতোমধ্যে সেজেছে নতুন সাজে। লেকের পাহাড়ের ওপরে ফটো কর্নার, যেখানে দেখা মিলবে নানা ভঙ্গিতে হরেক প্রাণীর ভাস্কর্য। লেকের গা-ঘেঁষেই সামুদ্রিক প্রাণীদের ভাস্কর্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট অ্যাকুয়াটিক জোন। এ ছাড়া ঈদকে ঘিরে প্রস্তুতি চলছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে। গত ঈদুল ফিতরে দৈনিক অর্ধ লাখের বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এবার পর্যটক আরও বাড়বে। কারণ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল দেখতে ভিড় জমাবে দর্শনার্থীরা। সাজসজ্জা চলছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও। গত ঈদে দৈনিক ১২ হাজারের মতো দর্শনার্থী টিকিট কেটে প্রবেশ করেছে এখানে। প্রতি টিকিটের মূল্য ৭০ টাকা। দর্শনার্থী বরণে প্রস্তুত নগরের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত নেভাল, প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয় মিত্র ঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাতি তাত্ত্বিক জাদুঘর, হালিশহর সাগর পাড়।

নগরীর বাইরেও জেলার ১৫টি উপজেলায় প্রস্তুত একাধিক বিনোদন কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, চন্দ্রনাথ পাহাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্রসৈকত, রাউজানে মহামুনি মন্দির, অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি শিশু পার্ক, বেতাগি কর্ণফুলী নদীর পাড়, রাউজান রাবার বাগান ও ফটিকছড়ি চা বাগান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর