শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
চট্টগ্রামে ১১ অস্বাভাবিক মৃত্যু

তিন হাসপাতাল ভিজিট করবে ডেথ রিভিউ কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্বভাবিকভাবে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত ডেথ রিভিউ কমিটি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করবে। পরিদর্শনে ডেথ রিভিও কমিটি রোগীর স্বজন, দায়িত্বশীল চিকিৎসক-কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবে এবং ফার্মেসিগুলো পরিদর্শন করবে। এসব কাজ শেষে ঈদ-পরবর্তী ১৫ কার্যদিবস পর সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। জানা যায়, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চট্টগ্রামের তিনটি হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছয়জন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেমন মাতৃসদন  হাসপাতালে একজন।

 এ নিয়ে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ, শুরু হয় তোলপাড়। চিন্তায় পড়ছেন প্রসূতি রোগীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালককে সদস্যসচিব করে ১০ সদস্যের ‘ডেথ রিভিউ’ নামে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি গত সোম ও বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠকে বসে। আগামী মঙ্গলবার কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিকতর তদন্তের জন্য আরও ১৫ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়।

অন্যদিকে অস্বাভাবিক কোনো মৃত্যু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জানাতে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলার বেসরকারি প্রায় ২৫০টি হাসপাতালে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

ডেথ রিভিউ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আকতার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে দুবার বসেছি। তবে আরও কিছু তথ্য এবং পর্যবেক্ষণ দরকার। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা হাসপাতালগুলো পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।’

জানা যায়, তিনটি হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয় হাসপাতালগুলোয় রোগীদের ব্যবহৃত ওষুধের ৪০টি স্যাম্পল সংশ্লিষ্ট ফার্মেসিগুলো থেকে সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে পাঠায়। স্যাম্পলের মধ্যে আছে : অ্যানেসথেসিয়ায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ও রক্ত বন্ধে ব্যবহৃত ওষুধ। ২৭ ও ৩০ মার্চ এসব স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয়। ল্যাবে স্যাম্পলগুলোর ইস্টরিলিটি, কেমিক্যাল ও এন্ডোটকসিন টেস্ট করা হবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ঘটনার পর পরই আমরা তিনটি হাসপাতালে সিজারের সময় ব্যবহৃত ওষুধগুলোর ৪০টি স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়েছি। ১৫ দিন পর রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ল্যাবে পরীক্ষার পরই জানা যাবে ওষুধের অবস্থা।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর