রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সারা রাত জেগে থাকে সিলেট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সারা রাত জেগে থাকে সিলেট

মধ্যরাতে সিলেটের জিন্দাবাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা

শেষ সময়ে জমে উঠেছে সিলেটের ঈদবাজার। দুপুর থেকে সাহরি পর্যন্ত প্রতিটি মার্কেটে লেগে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। ‘ট্রাফিক জ্যামে’ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো হয়ে পড়ে প্রায় অচল। ক্রেতাদের পদচারণে সারা রাত জেগে থাকে সিলেট নগর। তবে এ বছর পোশাকের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। গতবারের চেয়ে এবার পোশাকের দাম প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি তাদের। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে এবার বিদেশি কাপড় আমদানিতে তাদের খরচ পড়েছে বেশি। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।

সিলেটে মূলত ঈদ বাজার জমে রমজানের শেষ সপ্তাহে। এই সময় প্রবাসীরাও ঈদের কেনাকাটার জন্য দেশে থাকা তাদের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠান। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরেন এই সময়। প্রতি বছরের মতো এবারও ২৩ রমজানের পর থেকে সিলেটে জমে উঠেছে ঈদবাজার। দুপুর ১২টা থেকে সাহরি পর্যন্ত নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া এলাকার বিপণিবিতান, ব্র্যান্ড শপ, ফ্যাশন হাউস ও দোকানপাটগুলোতে লেগে থাকছে ক্রেতাদের ভিড়। দিনে বেশি গরম থাকায় অনেক ক্রেতা তারাবির নামাজের পর কেনাকাটা করতে মার্কেটে যান। মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে নিজের পছন্দের ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। যারা ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলছেন, তারা ভিড় করছেন জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানে।

ঈদবাজারকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে নগরীতে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। সাহরি পর্যন্ত এই যানজট লেগেই থাকে। যানজটের কারণে কেনাকাটা করতে আসা অনেক ক্রেতাকে ইফতার ও সাহরি করতে হচ্ছে রেস্টুরেন্টে। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যবসায়ীরাও নিজেদের দোকান ও মার্কেটে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা করেছেন। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পোশাক ও জুতার ওপর দিয়েছেন বিশেষ ছাড়।

ঈদবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার তরুণীদের পছন্দে রয়েছে ভারতীয় কাপড়। ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারাও দোকান সাজিয়েছেন ভারতীয় কাপড় দিয়ে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার ভারত ও পাকিস্তানি কাপড়ের দাম অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি তাদের।

জিন্দাবাজারের সিটি সেন্টারে কেনাকাটা করতে আসা নগরীর জেলরোডের বাসিন্দা শায়লা তাবাসসুম নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এবার কাপড়ের দাম আকাশচুম্বী। গত বছর ঈদে যে থ্রিপিস ৫-৬ হাজার টাকা ছিল, এবার একই কাপড়ের দাম ১০ হাজার টাকা চাইছেন ব্যবসায়ীরা। যে কারণে বাজেটের মধ্যে পছন্দের কাপড় কেনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

এবার ঈদে কাপড়ের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান রিপন বলেন, ‘দেশে ডলার সংকটের কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের বিদেশি কাপড় আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে কোনো ব্যবসায়ী অযৌক্তিক দাম হাঁকছেন না।’

আবদুর রহমান রিপন আরও জানান, ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ হওয়ায় এবার ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার প্রবাসীরা দেশে ফিরেছেন কম। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরলে ব্যবসা আরও ভালো হতো।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর